শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের নবম স্কন্ধের ষষ্ঠ অধ্যায়ে রাজা পুরুকুত্স এবং তাঁর বংশধরদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়ে মূলত রাজা পুরুকুত্সের বংশের বিভিন্ন ঘটনা এবং তাঁদের কর্মের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। রাজা পুরুকুত্স ছিলেন ইক্ষ্বাকু বংশের একজন মহান রাজা। তাঁর শাসনকালে রাজ্য ছিল শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ। তিনি ছিলেন ধর্মপরায়ণ এবং প্রজাদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। তাঁর বংশধরদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিখ্যাত রাজা এবং ঋষি, যাঁরা তাঁদের কর্মের মাধ্যমে ধর্ম এবং ভক্তির প্রসার ঘটিয়েছিলেন। এই অধ্যায়ে রাজা পুরুকুত্সের বংশের বিভিন্ন ঘটনা এবং তাঁদের কর্মের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যা থেকে আমরা ধর্ম, কর্ম এবং ভক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারি। আর আমরা জানতে পারি শৌভরী মুনির কাহিনী। শৌভরী মুনি ছিলেন এক মহান যোগী, যিনি বহু বছর ধরে যমুনা নদীর জলে তপস্যা করছিলেন। তাঁর তপস্যার শক্তি ছিল অসাধারণ এবং তিনি বহু অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন।
একদিন গরুড়, ভগবান বিষ্ণুর বাহন, যমুনা নদীতে মাছ শিকার করতে এলে শৌভরী মুনি তাঁকে অভিশাপ দেন। এই অভিশাপের ফলে গরুড় যমুনা নদীতে আর মাছ শিকার করতে পারেননি।
তপস্যার সময়, শৌভরী মুনি মাছেদের মিলন দেখে কামনায় আক্রান্ত হন। তিনি রাজা মন্ধাতার কাছে গিয়ে তাঁর পঞ্চাশ কন্যাকে বিবাহ করেন।
বহু বছর ভোগবিলাসের পর, শৌভরী মুনি বুঝতে পারেন যে ইন্দ্রিয়সুখ ক্ষণস্থায়ী এবং তপস্যার পথেই প্রকৃত শান্তি পাওয়া যায়। তিনি পুনরায় তপস্যায় লিপ্ত হন এবং আত্মশুদ্ধির জন্য।